ঢাকা , সোমবার, ১৩ মে ২০২৪ , ৩০ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

টাঙ্গাইলে চোরকে চিনে ফেলায় ষাটোর্ধ্ব বৃদ্ধাকে গলা কেটে হত্যা,গ্রেপ্তার ২জন

বাংলার জমিন ডেস্ক :
আপলোড সময় : ২০-০৯-২০২৩ ০৭:২২:৪২ অপরাহ্ন
আপডেট সময় : ২০-০৯-২০২৩ ০৭:২৫:২৩ অপরাহ্ন
টাঙ্গাইলে চোরকে চিনে ফেলায় ষাটোর্ধ্ব বৃদ্ধাকে গলা কেটে হত্যা,গ্রেপ্তার ২জন সুরাইয়া হত্যায় গ্রেপ্তার লাবু মিয়া ও আল আমিন আকন্দ। ইমেজ: সংগৃহীত
টাঙ্গাইলে বীর মুক্তিযোদ্ধার স্ত্রী ও দি বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড পত্রিকার বার্তা সম্পাদকের মা সুরাইয়া হত্যার রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। সংস্থাটি জানায়, চোরকে চিনে ফেলায় ষাটোর্ধ্ব বৃদ্ধাকে গলা কেটে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় দুই জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

মঙ্গলবার রাতে সিরাজগঞ্জ সদর ও ভূঞাপুর সদর থেকে দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তারা হলেন, সিরাজগঞ্জ সদরের পুনর্বাসন এলাকার মো. লাবু মিয়া (২৯) ও ভূঞাপুর পশ্চিমপাড়ার আল আমিন আকন্দ (২২)। বুধবার তাদের প্রাথমিক স্বীকারোক্তির বরাতে এ তথ্য জানিয়েছেন পিবিআই পুলিশ সুপার সিরাজ আমীন। গত শুক্রবার ভূঞাপুর পৌরসভার পশ্চিম ভূঞাপুর এলাকার নিজ বাড়ি থেকে সুলতানা সুরাইয়া (৬৫) নামের এক নারীর গলা কাটা লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।

তিনি ওই এলাকার বীর মুক্তিযোদ্ধা মৃত আবদুর রহিম আকন্দের স্ত্রী এবং দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড পত্রিকার বার্তা সম্পাদক আবু সায়েম আকন্দের মা

গ্রেপ্তারদের বরাত দিয়ে পুলিশ সুপার সিরাজ আমিন জানান, গ্রেপ্তার আল আমিন আকন্দ নিহত সুলতানা সুরাইয়ার নিকটাত্মীয়। বৃদ্ধার সন্তান ঢাকায় থাকার কারণে আল আমিন অনেক সময় টাকার বিনিময়ে তাঁর সাংসারিক কাজ করে দিতেন।

সেই সুবাদে আসামিরা জানতে পারেন সুলতানা সুরাইয়ার কাছে টাকা আছে। সেই টাকা চুরি করতে গত বুধবার (১৩ সেপ্টেম্বর) রাতে আসামিরা বৃদ্ধার বাড়িতে যান। রাত ১২টার পর ঘরে প্রবেশ করার পর বৃদ্ধা তাদের দেখে চিনে ফেলেন।
এ সময় বৃদ্ধা চিৎকার শুরু করলে আসামিরা গামছা দিয়ে তার মুখ বেঁধে ফেলেন। পরে ছুরি দিয়ে বৃদ্ধার গলা কেটে মৃত্যু নিশ্চিত করেন। পরে সাড়ে ১২ হাজার টাকা ও তাঁর ব্যবহৃত দুটি মোবাইল ফোন নিয়ে যান আসামিরা। ২২ দিন ইলিশ ধরা, কেনা-বেচা ও মজুদ বন্ধ২২ দিন ইলিশ ধরা, কেনা-বেচা ও মজুদ বন্ধ পিবিআই কর্মকর্তা সিরাজ আমিন আরও জানান,ওই সাড়ে ১২ হাজার টাকা দুজনে ভাগ করে নেন এবং মোবাইল দুটি লাবু নিয়ে নেন। এর মধ্যে একটি মোবাইল সিরাজগঞ্জ সদরে বিক্রি করেন লাবু। সেই মোবাইলের সূত্র ধরে প্রথমে লাবুকে ও পরে আল আমিন আকন্দকে চিহ্নিত করা হয়। একাত্তর/

নিউজটি আপডেট করেছেন : Banglar Jamin

কমেন্ট বক্স

এ জাতীয় আরো খবর

সর্বশেষ সংবাদ